চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনুস স্মরণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন বিএনপি নেতারা। এতে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়ি ইউনুস স্মরণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে।বুধবার (২১ মে) সকালে ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামাল দোকানঘর নির্মাণে বাধা দিলে বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের ভাই পরিচয়দানকারী এবং ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইমাম হোসেন তাঁর দলবল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে দোকানঘর নির্মাণ বন্ধ রাখা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর অনুসারীদের নিয়ে দখলদারি করছেন। তাঁর সঙ্গে যুবদল নেতা মো. ইমাম হোসেন আছেন। তাঁরা খাস জমি দখল, পুকুর খননসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন।এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামাল গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করলে আমি সেখানে গিয়ে বাধা দিই। এতে তাঁরা আমাকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। জোর করে সেখানে দোকানঘর বসানোর চেষ্টা চলছে।বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইমাম হোসেন বলেন, ‘চেয়ারম্যান শহিদুল ভাই বুলবুল নামে একজনকে সেখানে মিষ্টির দোকানঘর করে দিচ্ছিলেন। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। অধ্যক্ষকে বুঝিয়ে বলেছি। আগামীকাল চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ বসবেন। আপাতত দোকানঘর নির্মাণ বন্ধ আছে।জোর করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন কিনা জানতে চাইলে ইমাম হোসেন বলেন, ‘জোর করে কিছু করছি না। চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষের আগেই কথাবার্তা ছিল, সে ভিত্তিতেই দোকান তৈরি হচ্ছিল।অভিযোগের বিষয়ে জানতে গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির মুন্সী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে যারা মার্কেট নির্মাণ করছিলেন, আপাতত তাদের নিষেধ করা হয়েছে।’ ইউএনও আরও বলেন, ‘দুই পক্ষই জমিটি নিজেদের বলে দাবি করছেন। তাই কাগজপত্রসহ দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছে। কাগজ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।#