By: Admin
Sep 20, 2023

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দূর্যোগ ব্যবস্থাপণা অধিদপ্তর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থায়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে চার কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭২ টাকা ব্যয়ে শিবগঞ্জে ৬টি কালভার্ট সংযুক্ত সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে প্রায় লক্ষ কৃষকের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের শতাধিক বছরের পুরানো পাতিয়ার ডাড়ার দুইপারের প্রায় ১৫টি গ্রামের কৃষকদের আম চাষীদের কৃষিপণ্য আম বহন করতে এবং জমি চাষ করতে ডাড়া পার হতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতেন।স্থানীয় কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে পাতিয়া ডাড়ায় ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৫ টাকা ব্যয়ে ৪৫ ফুট দীর্ঘ ১৪ ফুট প্রস্থ কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। কালভার্টের দুই পাশে মাটি ভরাট করে প্রায এক মিটার দীর্ঘ হেয়ারিং বন্ড রাস্তা নির্মা করা হয়েছে। এতে বিনোদপুর মনাকষা ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার কৃষকের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়েছে।বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের কৃষক মহবুল, মর্তুজা,বাদল,ফিটু,জাহির আলী সহ কালিগঞ্জ, আইড়ামারী,বাখরালি,একবরপুর,কাপড়্যাটোলা,রসুনচক,পাকাটোলা,রহমত মড়লেরটোলা মনাকষা ইউনিয়নের চৌকা, খড়িয়াল, চৌকা পোড়াদিহি, মনাকষা, পারচৌকা রানীনগর গ্রামের শতাধিক কৃষক জানান, আমারা দীর্ঘ দিন ধরে পাতিয়ার ডাড়ার দুইপারের জমি চাষাবাদ করতে কৃষি পণ্য বহনে চরম ভোগন্তির শিকার হয়েছি। কালভার্টটি নির্মাণের ফলে আমরা সে দুর্ভোগ হতে পরিত্রাণ পেয়েছি।একইভাবে, প্রায় একই ব্যয়ে দূর্লভপুর ইউনিয়নের জগনাথপুর জাগাতোলা গ্রামের মাওলানা তরিকুল ইসলামের বাড়ির পাশে একটি কালভার্ট, মনাকষা ইউনিয়রেন গোপালপুর মাঠে একটি, চককীর্তি ইউনিয়নের দূবলী ভান্ডার গ্রামের সাইফুদ্দিনের বাড়ির পাশে একটি, শ্যামপুর ইউনিয়নের চামা ভান্ডার গ্রামের মোকবুল হোসেনের জমির ওপর একটি, দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ধুমপাড়ার ডাড়ায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করে সবকটি কালভার্টের দুইপাশে সংযুক্ত সড়ক নির্মাণ করে কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করা হয়েছে।সরজমিনে নির্মিত ছয়টি কালভার্টের এলাকা ঘুরে কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, কালভার্ট নির্মাণের পর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর হয়েছে। যা স্বাধীনতা উত্তরকালে প্রথম কৃষকের দুর্ভোগ দূর করতে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কালভার্টগুলি নির্মাণ হয়েছে।এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, জনবান্ধব কৃষকবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমার দায়িত্ব। এর ধারাবাহিকতায় নির্মিত কালভার্ট এলাকার কৃষকের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে পরিকল্পনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে অনুমোদনের পর ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বরাদ্দ পেয়ে উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নের ছয়টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু করি এবং নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করেছি। ছয়টি কালভার্ট নির্মাণের ফলে ওই এলাাকাগুলির প্রায় ৯০ হাজার কৃষকের দুর্ভোগ দূর হয়েছে।#

 


Create Account



Log In Your Account