By: Admin
Feb 12, 2023

সাইদুররহমান,রাজশাহীঃ ভাষা সৈনিক পুত্র ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমানের বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ৪৯ হাজার টাকা চুরির ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মামলা দায়ের হলেও তদন্তই শুরু হয়নি।সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরও আর এম পির বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলামের অপতৎপরতায় আসামিরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার রাজশাহী জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ঘটনাটির তদন্ত দাবি করলে কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সভায় উপস্থিত আরএমপি প্রতিনিধিকে মামলাটি দ্রæত তদন্ত সম্পন্ন করার আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নগরীর বিনোদপুর এলাকার হাসিব ফটোকপি থেকে ৪৯ হাজার টাকা তুলে নেয়া হয় প্রেসক্লাব সভাপতি রবি কাশ অ্যাকাউন্ট থেকে। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর বোয়ালিয়া মডেল থানার জিডি করেন সাইদুর রহমান। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর মামলা করেন থানায়। পরে টাকা তোলার সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগ্রহ করেন তিনি এবং সেটি পুলিশকে দেয়া হয়। তবে আসামিরা বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলামের সোর্স হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তাদের গ্রেপ্তার করতে নিষেধ করেন ওসি। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হলেন বোয়ালিয়া থানার এস আই ও মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হায়দার আলী।তিনি রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতিকে বলেন, ‘ওসি স্যার আপনার মামলাটি তদন্ত করতে নিষেধ করেছেন। সেজন্য তদন্ত শুরু করিনি।’এ ঘটনায় মামলার বাদি ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান জেনেছেন, বিকাশ এজেন্টের দোকানের লোকজন ওসির সাথে যোগাযোগ করলে ওসি তাদের অভয় দিয়ে বলেছেন, ‘মামলা খেয়ে ফেলেছি। তোমাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি অভিযোগ করেছেন, চোরেরা ওসির সোর্স হিসেবে কাজ করে। সেজন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি ওসির সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করলে মাজহারুল ইসলাম তার সাথে ও দুর্ব্যবহার করেছেন। এ ঘটনায় মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করতে দিতে গত ৩ নভেম্বর আর এম পির সদ্য বিদায়ী কমিশনারকে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অনুরোধ জানান সাইদুর রহমান। তবে এদিন জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাইদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের ওসি থাকলে আরএমপির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধ্বংস হয়ে যাবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক ও সভার সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, এবার দিয়ে মোট তিনবার ঘটনাটি তুলে ধরলেন প্রেসক্লাব সভাপতি। আর ও আগে এটি সুরাহা করা উচিৎ ছিল। যেখানে ঘটনার প্রমাণ রয়েছে, সেখানে তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সভায় উপস্থিত আরএমপি প্রতিনিধিকে সিসিটিভি ফুটেজ ও যাবতীয় তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার এবং চার্জশিট দাখিলের আদেশ দেন জেলা প্রশাসক।সভায় এন এস আই, জেলা পুলিশ সুপার, সব উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রবৃন্দসহ আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।#


Create Account



Log In Your Account