By: Admin
Jan 11, 2024

ঠাকুরগাঁও  প্রতিনিধি: টানা দিন ধরে উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁও‌য়ে তীব্র ঠাণ্ডা বাতাসে কারণে নাকাল হয়ে পড়েছেন নিম্নবিত্ত অসহায় পরিবারগুলো। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে তাদের। অনেক ব্যক্তি বা সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত তিনদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।ঠাকুরগাঁও সদরের প‌শ্চিম বেগুনবাড়ী ধামপাড়া এলাকার খিরপ্রসাদ, স‌নেকা বালা, স্মৃ‌তি রায়, ন‌রেন রায়, বিরতা রায়, নু‌নিবালাসহ একা‌ধিক শীতার্ত ব্যক্তি ব‌লেন, প্রতিবারই শু‌নি সরকারি কম্বল দেছে কত জায়গাত। কিন্তু হামরা একটাও পাইনি কোনোবার।ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ম‌তিনাল বর্মন বলেন, দিনে থাকা গে‌লেও রাই‌তে জারে (প্রচন্ড শীত) ঘুমে আই‌সেনা। সরকার গরিব মাই‌নসেক (মানুষকে) কম্বল দেয় শুনেছু, ‌কোনো সময় একখানও পাইনি। শীতে তো গ্রামের লোকেরই কষ্ট বেশি।

অ‌টোচালক জা‌হেদুল ইসলাম বলেন, শীতের জন্য রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় মানু‌ষের চলাফেরাও ক‌মে গে‌ছে। এ কারণে রোজগার একেবারেই কমে গেছে।সদর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের কৃষক ন‌গেন পাল ব‌লেন, ঠান্ডার কারণে ফসলের খেতে কাজ করতে না পারায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ শুরু করলও বেশিক্ষণ খেতে থাকা যাচ্ছে না। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা ও শরীর অবশ হ‌য়ে আস‌ছে।ঠাকুরগাঁও হাসপাতা‌লের আবা‌সিক চি‌কিৎসা কর্মকর্তা র‌কিবুল আলম ব‌লেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগী হাসপাতা‌লে বেশি আসছে। শীতজ‌নিত রোগী বে‌শিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ র‌য়ে‌ছে। আমরা তাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।ঠাকুরগাঁও ত্রাণশাখার অ‌ফিস সহকা‌রী ত‌সিরুল ইসলাম ব‌লেন, জেলার ৫‌টি উপ‌জেলায় ৩২ হাজার ৫শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।#


Create Account



Log In Your Account