চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মাচের প্রথম সপ্তাহে খুলতে যাচ্ছে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন বলে জানিয়েছেন চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই চালু হতে পারে সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন। তাদের প্রচেষ্টায় রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতের মাহদীপুর বন্দরের ইমিগ্রেশন কে ২৫ ফেব্রæয়ারির মধ্যে ইমিগ্রেশন চালুর জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক উত্তর সংশ্লিষ্ট দফতরে যাবার পর আগামী ১ মাচ থেকে সোনামসজিদ- মাহদীপুর ইমিগ্রেশন চালুর সম্ভবনা রয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমি নিবাচিত হবার পর দেয়া প্রতিশ্রæতি গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রæতি ছিল সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন চালু করা। আর সেই লক্ষে রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় সরকারি হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার এন্ড কমার্স ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার এন্ড কমার্স যৌথভাবে কয়েক দফা বৈঠকের পর অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশিত সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন চালু হওয়া। আর ইমিগ্রেশন চালুর জন্য ভারতীয় সরকারি হাই কমিশনার সহ দুই দেশের ব্যবসায়ীদের উচ্চপর্যায়ের একটি টিম বাংলাদেশের সোনা মসজিদ ও ভারতের মহাদীপুর বন্দর ফেব্রæয়ারি মাসে ৩ দফা পরিদর্শন করে সভা করেছ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ মাচ করোনা প্রকোপ বেড়ে যাবার কারণে সোনামসজিদ বন্দরের ইমিগ্রেশন সহ দেশের কয়েকটি ইমিগ্রেশন সেন্টার বন্ধ হয়ে যায়। মতবিনিময় সভায় আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আম বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। বৈশ্বিকভাবে আমের বাজার স¤প্রসারণ ও জাত উন্নয়নে কৃষকদের পক্ষে এই দাবি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ। শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবি জানান। সেই সাথে তিনি দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টার মার্চের প্রথম সপ্তাহে চালুর সম্ভাবনার কথা জানালেন। এসময় চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, দেশের ৫০ শতাংশের বেশি আম উৎপাদন হয় আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এছাড়াও বছর জুড়ে আমের বাজার রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার। তাই আমের জাত উন্নয়নসহ বাজার স¤প্রসারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রাণের দাবি আম বোর্ড গঠনের। এই জেলার আমে রয়েছে বিশ্বখ্যাতি। তাই আমকে রপ্তানিমুখী ও উন্নত আম উৎপাদনের জন্য একটি আম বোর্ড গঠনের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সিলেটে চায়ের জন্য আলাদাভাবে চা বোর্ড থাকলে আমের জন্য কেন আম বোর্ড গঠন করা হবে না? আম বোর্ড গঠনের দাবিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষী, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকদের একটি যোক্তিক দাবি। সরকারকে এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায়। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমনুরা নিজামপুর এলাকার মধ্যে কৃষি ভিত্তিক রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চল ( ইপিজেড) গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। এছাড়াও আমের মৌসুমে ভারত থেকে আম আমদানি বন্ধ করতে হবে। যাতে জেলার কৃষকরা নায্যমূল্য পায়। আমের বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমচাষী ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। গত কয়েকবছর থেকে এ এলাকার আমচাষীরা যখন আমের নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঠিক এ সময় এ ধরনের দাবীকে স্বাগত জানিয়েছে আম ব্যবসায়ী ও চাষীরা। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মসিউল করিম বাবু, সহ-সভাপতি আকতারুল ইসলাম রিমন, পরিচালক মফিজ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।#