পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজানসহ বিভিন্ন উৎসব পার্বণ উপলক্ষে পণ্যমূল্য হ্রাস করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বাংলাদেশে ভিন্ন চিত্র। বরাবরের মতই এবারও আসন্ন রমজানকে ঘিরে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নতুন করে ফাঁদ পেতেছে।রমজান শুরুর প্রায় দেড় মাস আগ থেকে নিত্যপণ্যের দাম নীরবে পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হচ্ছে, রমজানে পণ্যের দাম বেড়েছে- এমন অভিযোগ যাতে না ওঠে, সেই কৌশলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের কাজ করছেন বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।আজ (শুক্রবার) রাজধানী কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজারসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতের মৌসুমেও যেকোনও এক প্রকারের সবজি কিনতে অর্ধশত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে একজন ক্রেতাকে। মাছ কিনতে লাগছে নিম্নে ৩০০ টাকা। আর কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে এলাকা ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। আর মাংসের দোকান তো এড়িয়ে চলছেন অনেক ক্রেতারাই।বাজারে ব্রয়লার মুরগির ও তার ডিম এখন আলোচনার তুঙ্গে। মুরগির ডিমের বাজারেও অস্থিরতা; দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ে। এখন ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ টাকা।মিরপুর ১১ নম্বরে বাজারে আসা আক্তার হালিম নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।প্রতিনিয়তই বাজারের খরচ বাড়ায় ক্রেতারা এখন কৌশলী ভূমিকা পালন করছেন। টাকা গুনে বাজার করছেন তারা। তাতে সব না মিললেও আপাতত চলার মতো জিনিসপত্র কিনছেন।এরপর নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়লে নিন্ম আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি চাপ আরো পড়বে। এ প্রসঙ্গে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, পণ্য সংকটের নাম দেখিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে। এলসি সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে উল্লেখ করে নাজের হোসাইন বলেন, সাপ্লাই চেইনের সমস্যায় এখন নিত্যপণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী।তিনি আরও বলেন, বাজার নজরদারির জন্য আমরা সব সময় বলে আসছি; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়ানোয় জড়িত অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন এই ক্যাব নেতা।#