By: Admin
Jan 1, 2025

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  চাঁপাইনবাবগঞ্জ  এখন মাঠের পর মাঠ হলুদ আর হলুদ সমারাহ।সকালে সরিষা ফুলগুলো শিশিরে ভেঁজা ফুলের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায় । এ দৃশ্য মুগ্ধ করবে যেকোন প্রকৃতি প্রেমিকে।সরিষা ক্ষেতের ফুলগুলোতে মৌমাছির আনাগোনা। ফুলে থাকা মধুর লোভে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছিরা। সরিষা ফুলের ঘ্রান আর হালকা বাতাসে গাছের দুলনিতে উঠে হলুদ ঢেউ। প্রকৃতিতে হলুদের আভা এনেছে সরিষা ফুল।শিবগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর মাঠ প্রান্তরে এখন যেন সরিষার হলুদে হাসি। খরচ কম, সময় কম ও ফলন বেশী  এবং  দামও ভাল পাওয়ায় শিবগঞ্জে সরিষা চাষে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরজমিনে উপজেলার বিনোদপুর, মনাকষা, শ্যামপুর, দূর্লভপুর, কানসাট,ধাইনগর, উজিরপুরসহ পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদি জমি দেখা গেছে।শিবগঞ্জ কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, শিবগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৭শ’ ৬০ হেক্টর বেশী জমিতে আবাদ হচ্ছে। এবং ৪ হাজার ৭’শ জন কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ফারুক আহমেদ ৩ বিঘা,জেন্টু ৩ বিঘা,আল-মোঃ জাহাঙ্গীর আলী ৪বিঘা জমিতে বিশ্বনাথপুর গ্রামের পশ্চিমে সাতভাইয়া মৌজায় সরিষা আবাদ করেছেন। মনাকষা ইউনিয়নের খড়িয়াল গ্রামের কৃষক মুন্টু ৩ বিঘা,৫বিঘা চৌকা মৌজায় সরিষা আবাদ করেছেন। কানসাট ইউনিয়নের কৃষক মানিক এই বছর ৩ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আশানুরূপ ফলন হবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা। তার দাবী, বিঘা প্রতি ৫ মন করে সরিষা পাওয়া যাবে।চরাঞ্চলের পাঁকা ইউনিয়নের  কৃষক তোজাম্মেল ৫বিঘা সরিষা আবাদ করেছেন। চরাঞ্চলের  আলকেশ বলেন অনান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম হওয়ায় চরাঞ্চলের জমিগুলোতে সরিষার আবাদ বেশি হচ্ছে। এছাড়াও আমের বাগানগুলোতে সাথী ফসল হিসেবেও সরিষা চাষ করছেন কৃষকরা। যার ফলে অল্প খরচেই লাভবান হন তারা। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে ইরি-বোরো ধানের আবাদে খরচ মেটানো সম্ভব হবে বলে জানান তারা।শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া জানান, গত বছর উপজেলার ৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। আশানরুপ ফলন আর সরিষার দাম পাওয়ায় এবার ৭৬০ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে। সরিষার জাত বারি ১৪ ও ১৭ চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভাবন হচ্ছেন।
এছাড়াও শিবগঞ্জে সরিষার আবাদে বাড়তি লাভের জন্য  ৬টি দলের মাধ্যমে প্রায় ১০০ জন মৌচাষী মধূ চাষ করে হাজার হাজার টাকাও আয় করছে। এছাড়াও নাটোর, নেত্রকোনা,নড়াইল সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক মৌচাষীর দল মধু চাষ করতে এসেছে এই এলাকায়। মধু চাষে সরিয়ার উৎপাদন কমে না ববং পরাগায়ণের ফলে ফলন বৃদ্ধি পায়। সরিয়া ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ না করার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। অনেকটা কমেছে। কৃষকদের মাঠে মাঠে গিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।#
 

 


Create Account



Log In Your Account