ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃচাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকীবাজী আর এই আছে এই নাই-এর খপ্পরে পড়ে উপজেলার কৃষিজীবিদের বেহালদশা, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির ক্ষয়-ক্ষতি, পল্লী বিদ্যুতের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জবাব প্রয়োজন সাড়ে ৯ কেবি বিদ্যুৎ, সরবরাহ রয়েছে সাড়ে ৩ কেবি। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি প্রয়োজন বলে এলাকাবাসীসহ কৃষিজীবিদের ভবিষ্যতে সামনের ধান মৌসূমে চরম অবস্থা হবে বলে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। সূত্রে জানা গেছে, ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে ভোলাহাট উপজেলার সর্বত্রই পল্লী বিদ্যুতের ভেলকীবাজীতে আর বিদ্যুৎ এই আছে এই নাই-এর খপ্পরে পড়ে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের বিশেষ করে কৃষিজীবিদের সামনের ধানের মৌসূমে পল্লী বিদ্যুতের এ ধরণের ভেলকীবাজী আর এই আছে এই নাই-এর অবস্থা বিরাজ করে তাহলে তারা মাঠেই মারা যাবে বলে তারা মন্তব্য করেছেন। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সন্ন্যাসীতলা-মেডিকেলমোড়ের বেশিরভাগ দোকানপাট ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জামাদীতে ভরপুর। পল্লী বিদ্যুতের এ ধরণের যাওয়া-আসার অবস্থা চলতে থাকলে তাদের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর ক্ষয়ক্ষতিতে পড়বেন বলে তারা তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। “শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই যদি হয় বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দ্যোগ, তাহলে কৃষিজীবিদের নিয়ে গঠিত এই উপজেলা ভোলাহাট। কথায় রয়েছে ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ কথাটি চিরসত্য বলেই বর্তমান সরকার এই কৃষিজীবি মানুষগুলিকে সার্বিকদিক দিয়ে ভূর্তুকি দিয়েই চলেছেন। আরো তাদের সহযোগিতা করার জন্য মৌসূমে মৌসূমে তাদের নানাবিধ কৃষিভিত্তিক দ্রব্যাদি বিনামূল্যে ভূর্তুকি প্রদাণ আসলেও ভোলাহাটে পল্লী বিদ্যুৎ জোনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্মরত থাকলেও তাদের হেয়ালীপনা আর খামখেয়ালীর কারণে সামনের ধানের মৌসূমে কৃষকগণ মাঠে মারা পড়বে বলে এলাকার সচেতনমহল তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভোলাহাট জোনাল অফিসের দায়িত্বে নিয়োজিত এজিএম মোঃ মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লোডশেডিং বলে বিষয়টি এরিয়ে যাবার চেষ্টা করেন এবং তিনি আরো বলেন, আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন সাড়ে ৯ কেবি, সেখানে সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র সাড়ে ৩ কেবি। তাহলে আমাদের কি করার থাকে, পারোতো পক্ষে চেষ্টা করছি ভালো কিছুর করার বা ভালো বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ার।#