By: Admin
Jul 8, 2023

এম.এস.আই শরীফ,ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গে গেছে সোয়া কোটি টাকার একটি ব্রীজ। বহুদিন অপেক্ষার পর হলেও ব্রীজটির কাজ শুরু হলেও শেষ হতে না হতেই বেঙ্গে গেছে ব্রীজটি। এতে স্থানীয় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রত্যক্ষ করা গেছে।

ভোলাহাট উপজেলা হতে বড়গাছী জিসি (মহানন্দা নদীর তীর) পর্যন্ত রাস্তার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের ঐতিহাসিক মুন্সিগঞ্জহাটের পাশে উপজেলা এলজিইডির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ১কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০২ টাকা বরাদ্দে ২০২১ সালের ৩অক্টোবর ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

 

ব্রীজটি চলতি বছরের ২ এপ্রিল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরপিএমসি’র ঠিকাদার আবুল হোসেন ও সোহেল জেভি এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেননি। তবে ব্রীজের দু’পাশে মাটি ভরাট করে কার্পেটিং রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়। ব্রীজটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার শেষ মুহূর্তে ৩১ জুন শুক্রবার রাতে বৃষ্টি হলে পানির তোড়ে ব্রীজের পূর্ব পাশের কার্পেটিং ভেঙ্গে পড়ে যায়।

এতে স্থানীয় লোকজন নির্মাণ কাজে অনিয়মের প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারের যোগসাজশে নি¤œমানের কাজ করায় সামান্য পানিতে ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। আগামীতে বেশী বৃষ্টি হলে ব্রীজটি আরো ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়রা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্রীজটির অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখার জোর দাবী করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, এ ব্রীজটি প্রায় ৭/৮ বছর ধরে ভেঙ্গে পড়ে পতিত হয়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার পর সরকার এতো টাকা ব্যায় করে জনগণের জন্য ব্রীজটি করে দিচ্ছেন। কিন্তু দূর্নীতি আর অনিয়মের কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই আগেই ভেঙ্গে গেল ব্রীজটি। এ ব্যাপারে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান গ্রামবাসীরা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুস সবুর আলী জানান, সঠিক ভাবে মাটি ভরাট না করায় মাটি বসে গেছে। স্থানিয় বাসিন্দা মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার ঠিক মত কাজ করেনি। ফলে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াসিন আলী শাহ্ জানান, আমি পরিদর্শন করে দেখলাম ঠিকাদার ব্রীজটি হস্তান্তর করার আগেই মাটি ভরাট না করার কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ আছহাবুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কথা শুনেছি। কাজ এখনো চলমান। আগামীকাল থেকে ভেঙ্গে যাওয়াসহ অন্যান্য কাজ শুরু করা হবে তিনি জানান।#

 


Create Account



Log In Your Account