চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগোলা মোড়ের পেট্রল পাম্প হতে আতাহার বুলুনপুর ফারুক অটো রাইস মিল সড়কে বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে এখন বেহালদশায় পরিনত হয়েছে। অথচ ব্যস্ততম এ সড়কের দুই ধারে দেশের শীর্ষস্থানীয় চালকল মালিকদের দিনে হাজার হাজার ট্রাক,বাসসহ অসংখ্য ছোট বড় গাড়িঘোড়া অনেক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে। কয়েক বছর আগে নয়াগোলা কল্যাণপুর ফকল্যান্ড মোড় থেকে নয়াগোলা মোড় এবং আতাহার বুলুনপুর এরফান গ্রæপ হতে জামতলা মোড় পর্যন্ত স্থায়ীভাবে ঢালাই করে সড়কের সংস্কার করা হয়। কিন্তু এ সড়কের পশ্চিম দিকে নয়াগোলা মোড় থেকে বুলুনপুর ফারুক অটো রাইস মিল ও পূর্ব দিকে জামতলা এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসের এলাকা থেকে আমনুরা শিমুলতলা পর্যন্ত এ সড়কে স্থায়ী সংস্কার না করায় দুুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এলাকার স্থানীয় লোকজন জানান, আমনুরা নয়াগোলা সড়কে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু কয়েক জায়গায় খানাখন্দ আকার ধারণ করায় এ সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মিলার জানান, এ এলাকায় আমাদের ৫০ এর অধিক মিলকারখানা রয়েছে যাদের অধিকাংশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ ব্যাক্তিগত গাড়ী চলাচলের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি হাজারো গাড়ী চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। এ রাস্তাটির বেশিরভাগ জায়গা ঠিক করা হলেও পূর্ব ও পশ্চিমের কিছুঅংশ খুব খারাপ হওয়ার ফলে ও সাম্প্রতিক কালে বৃষ্টি হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মিলাররা দ্রæত এ রাস্তা সংস্কার করার জন্য অনুরোধ করেন। নয়াগোলা-আমনুরা রোডের দুই অংশে খানাখন্দ ও পানি জমে থাকার বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক জানান, খানাখন্দ ও পানি জমে থাকার বিষয়টি আমরা জানি। এ রোডের কিছু অংশ কাজ বাকি রয়েছে এ কাজ শুরু করার জন্য আমরা সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শ্রীঘই এই বাকি অংশের কাজ শুরু হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে গত রবিবার। জেলায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী বৃষ্টি হয়েছে ভোলাহাট উপজেলায়। এদিকে ভারী বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। কোনো কোনো রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা চলচল বন্ধ হয়ে যায়। দুয়েকটি চললেও কয়েকগুন বেশী ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীদের। বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে অনেকের বাসার ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়। সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হয় রেহিও মহান্দা ৯৮.৮ এফএম এর। অন্যদিকে মাস কলাই চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে মসকলাইয়ের জমি ডুবে গেছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, গত সোমবার জেলায় গড় বৃষ্টি হয়েছে ৫৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে জেলা সদরে ৭০ মিলিমিটার,শিবগঞ্জ ৬০ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ৩৫ মিলিমিটার, নাচোলে ১৫ মিলিমিটার ও ভোলাহাটে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।#