চাঁপাইনাববগঞ্জ প্রতিনিধিঃচাঁপাইনাববগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হওয়া দুই পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে প্রায় ৬ বছর থেকে আদালতের নির্দেশে অবৈধভাবে নির্মাণকৃত ওয়াল ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়েছে ।২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েব নাজীর নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় অবৈধভাবে নির্মাণকৃত ওয়াল ভেঙ্গে উচ্ছেদ করেন। কানসাট ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুুর গ্রামে মৃত্যু আবুল কাশেমের ছেলে মেরাজুল ইসলাম মংলু ও তার ভাই মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা ছয় বছর পূর্বে পাকা ওয়াল দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছিল নিজ ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রথমে আদালতের শরণাপন্ন হয় ডিগ্রি লাভ করে পরবর্তী সময়ে মোজাম্মেল হক অবৈধভাবে ওয়াল দিয়ে রাস্তা আটকার প্রেক্ষিতে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত মোজাম্মেল হক ডিগ্রী পাই । তার প্রেক্ষিতে আজ অবৈধভাবে দখলকৃত জমি উদ্ধার করে মেরাজুল ইসলাম মংলু ও মোজাম্মেল হকের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত হলো । মোজাম্মেল হক বলেন, একাধিক বার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি তারা রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াল দিয়েছেন শুধুু তাই নয় আমার ভাই মেরাজুল ইসলাম মঙলুর বাসায় বিদুৎতের লাইন টি ও যেতে দেয়নি আমার আরেক ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ । আজ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ করায় আমি ও আমার ভাই মুক্তি পেলাম। তবে আমার ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আচরণ উদ্বেগ জনক আমরা আতঙ্কিত।স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, নিজের বড় ভায়ের বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার রাস্তা ৬ বছর আগে বন্ধ করেছে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এটি অমানবিক কাজ করেছে । রাস্তা বন্ধ করে বড় ভায়ের প্রতি জুলুম করছে পরিবার অনেক কষ্টে ছিল আজ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ করায় মুক্তি পেল পরিবার দুইটি।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েব নাজীর নুরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে আজকে মোহাম্মদ আলী জিন্নাত দখলকৃত বসত ভিটা জমিতে নির্মাণকৃত ওয়াল ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হইল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের জারি কারক রেজাউল করিম, সার্ভে কমিশনার এডভোকেট আখতারুল ইসলাম শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা ।#