By: Admin
Dec 21, 2023

ডেস্কঃ রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে নিখোঁজ খোকন মিয়া ও রশীদ ঢালীর মরদেহ শনাক্তের পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা তিনটা ও সাড়ে তিনটার দিকে খোকন মিয়ার(৩৪) মরদেহ তার স্ত্রী সাজনের কাছে এবং রশিদ ঢালীর(৬০) মরদেহ তার ছেলে মামুনের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।নিহত রশিদ ঢালীর ভাতিজা বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসে চাচার মরদেহ শনাক্ত করি। কোমরে তাবিজ, হাতে আংটি,গায়ের পোশাক দেখে চাচাকে চিনতে পারি। পরে তার ছেলে মামুন এসেও চাচার মরদেহ শনাক্ত করে। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এখান থেকে নেত্রকোণার সদরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’নিখোঁজ খোকনের স্ত্রী সাজন বলেন, ‘ভাতিজির বিয়ের জন্য আমার শাশুড়ী ও আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সে গ্রামের বাড়ী সুনামগঞ্জে যায়। পরে গতকাল রাতে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। সোমবার রাত ৯ টার পর তার সঙ্গে আর আমার কোনো কথা হয়নি। পরে জানতে পারলাম ট্রেনে আগুন লেগে চারজন মারা গেছে। কিন্তু আমি আমার স্বামীর মোবাইলে অনেকবার কল দিয়েছি, কিন্তু কল যায় না।’তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে এসে দুটি মরদেহ দেখি; এর মধ্যে একটি মরদেহ পাঞ্জাবি পরা, দাঁতে দাগের চিহ্ন ও মুখমন্ডল দেখে আমার স্বামীকে চিনতে পেরেছি। এখন মরদেহ নিয়ে আমরা সুনামগঞ্জে চলে যাব। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।’খোকনের স্ত্রীর সাজন আরো জানান, ‘আমি ও আমার স্বামী ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্সটাইলে কাজ করি। আমার স্বামী ওই টেক্সটাইলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেটর হিসেবে কাজ করত। আমরা এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় থাকি।’কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান বলেন, ‘দুই পরিবারের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।’#


Create Account



Log In Your Account