মোস্তফার অমৌসুমে কাটিমন আম রমজানে বিক্রির আশা চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সবেমাত্র চৈত্র মাস শুরু। এ মাসে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে সুবাস ছড়াচ্ছে আমের সোনালী মুকুল। ভালো ফলন পেতে পরিচয্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে ব্যতিক্রমি পদ্ধতিতে গোলাম মোস্তাফা নামে এক চাষীর বাগানে দুই হাজার গাছে দুলছে থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের আম। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। এ আম রমজানে বিক্রির আশা করছেন তিনি।উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার এলাকার নয়নগরে গোলাম মোস্তফার আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ বিঘা জমিতে সারি সারি লাগানো আছে কাটিমন জাতের প্রায় দুই হাজার আম গাছ। ডালে ডালে ধরে আছে আম। এই আম পরিপক্ক হবে আরও প্রায় ২০ দিন পরে। আবার কিছু গাছে এখন মুকুলও ফুঠছে। এগুলো ধরবে আরও ২০ দিন পরে। এ আম দেখে গোলাম মোস্তফার আশা আগামী রমজানে এই আম বিক্রি করবেন তিনি। গোলাম মোস্তফা বলেন, সিজিনাল আমে লোকশান গুনে গড়ে তুলেছি কাটিমন জাতের এই আম বাগান। কাটিমন আম বছরের যে কোন সময় উৎপাদন করা সম্ভব। তাই বেশি দামে বিক্রিও করা যায়। গত বছর এ সময় আম উৎপাদন করে রোজায় বিক্রি করেছিলায় ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে। এবারও আমার বাগানে প্রায় দুই হাজার গাছে আম ধরে আছে। আশা করছি এবারও ৪০০-৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করতে পারব। তবে এই দুই হাজার গাছে মোট কত মণ আছে বলতে পারেননি গোলাম মোস্তফা। তিনি আরও বলেন, এখন সবার আম বাগানে মুকুল ফুটেছে। কিন্তু আমার গাছে আর রয়েছে। কারণ আমি আগেই চিন্তা করেছি যে রমজানে আমি আম বিক্রি করব। তিনি আরও বলেন, অনেক আম ব্যবসায়ী বলছেন, আম বাগানে তেমন আয় হচ্ছেনা। কিন্তু ধারণা আমের বাগান করে এখনো স্ববলল্বী হওয়া সম্ভব। তবে পরিবর্তন করতে ব্যাবসার ধরণ। যে সময়ে আমের দাম বেশি পাওয়া যাবে সে সময়ে গাছে আম ধরাতে হবে।শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, কাটিমন মূলত একটি নাবি জাতের আম। এ আমে গাছ ভালো পরিচর্যা করলে বছরে তিনবার ধরানো সম্ভব। জেলার কিছু কিছু স্থানে এখনো কাটিমন আম রয়েছে। তারা রমজান মাসে বিক্রির জন্য রেখেছেন। ভালো দাম পাওয়ার আশায়। দিন দিন এই আম চাষীর সংখ্য বাড়ছে। আমি এ বছর অন্য জাতের আম গাছ পরিবর্তন করে কাটিমন করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, বর্তমানে বারোমাসি কাটিমন জাতের আম গাছগুলোতে আম ঝুলছে। এ মুকুর গুলো হয়েছিল গত দুই মাস আগে। আর ফের এখন সেই গাছগুলোতে মুকুল হচ্ছে। এই জাতের আম গাছে বছরে তিনবার মুকুল আসে। আর চাষিরা এখন আল্ট্রা হাইডেনসিটি (অতি ঘন) বাগানের দিকে ঝুঁকছেন। পাশাপাশি গত এক দশকে ছোট গাছের জাতগুলোর সম্প্রসারণ হয়েছে জেলায়। আর সিজিনাল আমের দাম কম পাচ্ছেন। কিন্তু এই বারোমাসি আমগুলোর দামও ভালো।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে কাটিমন জাতের আম বাগান মোট কত হেক্টর জমিতে আছে তা জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।# চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সবেমাত্র চৈত্র মাস শুরু। এ মাসে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে সুবাস ছড়াচ্ছে আমের সোনালী মুকুল। ভালো ফলন পেতে পরিচয্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে ব্যতিক্রমি পদ্ধতিতে গোলাম মোস্তাফা নামে এক চাষীর বাগানে দুই হাজার গাছে দুলছে থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের আম। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। এ আম রমজানে বিক্রির আশা করছেন তিনি।উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার এলাকার নয়নগরে গোলাম মোস্তফার আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ বিঘা জমিতে সারি সারি লাগানো আছে কাটিমন জাতের প্রায় দুই হাজার আম গাছ। ডালে ডালে ধরে আছে আম। এই আম পরিপক্ক হবে আরও প্রায় ২০ দিন পরে। আবার কিছু গাছে এখন মুকুলও ফুঠছে। এগুলো ধরবে আরও ২০ দিন পরে। এ আম দেখে গোলাম মোস্তফার আশা আগামী রমজানে এই আম বিক্রি করবেন তিনি। গোলাম মোস্তফা বলেন, সিজিনাল আমে লোকশান গুনে গড়ে তুলেছি কাটিমন জাতের এই আম বাগান। কাটিমন আম বছরের যে কোন সময় উৎপাদন করা সম্ভব। তাই বেশি দামে বিক্রিও করা যায়। গত বছর এ সময় আম উৎপাদন করে রোজায় বিক্রি করেছিলায় ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে। এবারও আমার বাগানে প্রায় দুই হাজার গাছে আম ধরে আছে। আশা করছি এবারও ৪০০-৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করতে পারব। তবে এই দুই হাজার গাছে মোট কত মণ আছে বলতে পারেননি গোলাম মোস্তফা। তিনি আরও বলেন, এখন সবার আম বাগানে মুকুল ফুটেছে। কিন্তু আমার গাছে আর রয়েছে। কারণ আমি আগেই চিন্তা করেছি যে রমজানে আমি আম বিক্রি করব। তিনি আরও বলেন, অনেক আম ব্যবসায়ী বলছেন, আম বাগানে তেমন আয় হচ্ছেনা। কিন্তু ধারণা আমের বাগান করে এখনো স্ববলল্বী হওয়া সম্ভব। তবে পরিবর্তন করতে ব্যাবসার ধরণ। যে সময়ে আমের দাম বেশি পাওয়া যাবে সে সময়ে গাছে আম ধরাতে হবে।শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, কাটিমন মূলত একটি নাবি জাতের আম। এ আমে গাছ ভালো পরিচর্যা করলে বছরে তিনবার ধরানো সম্ভব। জেলার কিছু কিছু স্থানে এখনো কাটিমন আম রয়েছে। তারা রমজান মাসে বিক্রির জন্য রেখেছেন। ভালো দাম পাওয়ার আশায়। দিন দিন এই আম চাষীর সংখ্য বাড়ছে। আমি এ বছর অন্য জাতের আম গাছ পরিবর্তন করে কাটিমন করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, বর্তমানে বারোমাসি কাটিমন জাতের আম গাছগুলোতে আম ঝুলছে। এ মুকুর গুলো হয়েছিল গত দুই মাস আগে। আর ফের এখন সেই গাছগুলোতে মুকুল হচ্ছে। এই জাতের আম গাছে বছরে তিনবার মুকুল আসে। আর চাষিরা এখন আল্ট্রা হাইডেনসিটি (অতি ঘন) বাগানের দিকে ঝুঁকছেন। পাশাপাশি গত এক দশকে ছোট গাছের জাতগুলোর সম্প্রসারণ হয়েছে জেলায়। আর সিজিনাল আমের দাম কম পাচ্ছেন। কিন্তু এই বারোমাসি আমগুলোর দামও ভালো।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে কাটিমন জাতের আম বাগান মোট কত হেক্টর জমিতে আছে তা জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।#