আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। প্রায় ৮৪ বছর পর এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক।এরইমধ্যে প্রায় চার দিন পার হওয়ায় ধ্বংসস্তুূপের নিচে চাপা কিংবা আটকা পড়া লোকজনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ হয়ে গেছে।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, এ পর্যন্ত তুরস্কে ১৭ হাজার ৬৭৪ জন নিহত এবং ৬৩ হাজার আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিন হাজার ৩৭৭টি এবং আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার।গতকাল প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের বিশেষ ত্রাণবহর সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত জেয়ার পেডারসন বলেছেন, সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার যেখানে উদ্ধার এবং ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজন কোনরকমের রাজনৈতিক বাছ-বিচার না করেই তা করা হবে। তিনি বলেন, সিরিয়ায় উদ্ধার এবং ত্রাণ-তৎপরতা দ্রæত, সরাসরি এবং সবচেয়ে বেশি কার্যকর উপায় করা জরুরি।যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ওপর আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ভূমিকম্পে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও সেখানে বিশ্বের তেমন কোনো দেশ ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠায়নি। এ অবস্থায় সিরিয়া সরকার জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহযোগিতা করার আহ্বান জানায়।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গতকাল বলেছেন, তিনি সিরিয়ার পথে রয়েছেন। অন্যদিকে, ভূমিকম্পের পর থেকেই তুরস্ক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ এবং উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যাপক সহযোগিতা পাচ্ছে। তবে দুটি দেশেই প্রচন্ড ঠান্ডা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।#