চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সম্মাননা প্রদানের ধারাবাহিকতায় জেলার ৪ গুনি শিল্পী ও ১টি সৃজনশীল সংগঠককে জেলা শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ফেরদৗসী ইসলাম জেসী। নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ড. প্রফেসর শংকর কুমার কুন্ডু, আদিনা ফজলুল হক সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাযহারুল ইসলাম তরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুস সামাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ ফারুকুর রহমান ফয়সল। এসময় জেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ জন গুণী ব্যক্তিকে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০২২ প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নাট্যকলায় আজিজুর রহমান শিশির, লোক সংস্কৃতিতে (আলকাপ) লুৎফর রহমান সরকার, কণ্ঠসংগীতে হাফিজুর রহমান কাজল, যন্ত্রসংগীতে (মাদল) হিরালাল কোল কর্মকার ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে গোলাম ফারুক মিথুনকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকার চেক, সনদপত্র, উত্তরীয়, মেডেল ও স্মরণিকা প্রদান করা হয়।মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডুসহ বিশিষ্টজনরা। সূচনা বক্তব্য দেন- জেলা কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সল। সঞ্চালনা করেন ড. ইমদাদুল হক মামুন ও আশরাফুল ইসলাম। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌসী ইসলাম জেসি বলেন, সবাই বলে যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত, এখানে কোনো সাংস্কৃতিক চর্চা হয় না; কিন্তু আজকে আমি অভিভূত হলাম, আমাদের ছোট বাচ্চারা সাংস্কৃতিক চর্চা করছে দেখে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা গান শিখবে, নাচ শিখবে, কবিতা আবৃত্তি করবে তাহলে তোমরা বাংলাদেশকে জানতে পারবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আছে আলকাপ গান, গম্ভীরা, ভাটিয়ালি ভাওয়ায়া গান। তোমরা সবাই প্রাণখুলে গান শুনবে ও কবিতা আবৃত্তি করবে।সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করে আসছে। আজকে যারা সম্মাননা পাচ্ছে তার মধ্যে একজন কোল সম্প্রদায়ের আছে। আমার অত্যন্ত ভালো লাগছে যে সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই কোল সম্প্রদায়ের একজনকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবকিছুকে স্মার্ট করে গড়ে তুলব। আমাদের শিল্প-সাহিত্যকে পৃথিবীর সকলের কাছে তুলে ধরা তোমাদের দায়িত্ব।তিনি বলেন, যিনি শিল্প-সাহিত্যের সাথে নাই তার ভালো মনও নাই। যিনি বাংলার ভাটিয়ালি ভাওয়ায়া গানের মর্ম বুঝতে পারে না, তার মন ভালো থাকার সুযোগ নাই মানসিকভাবে।জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হলো সুমিষ্ট একটি জেলা এর নামটই সুমিষ্ট। তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই সংস্কৃতিকে ধারণ করব, বাঙালিকে ধারণ করব। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় আগামীতে আমাদের যে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা সেই পরিকল্পনা আমরা নিরাপদভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবই তুলব। এই হোক আমাদের নতুন প্রজন্মের নতুন প্রত্যয়।#
Cum sociis natoque penatibus et magnis dis parturient montes..
In enim justo, rhoncus ut, imperdiet a, venenatis vitae, justo..
Donec pede justo, fringilla vel, aliquet nec vulputate..
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit..
Beatae vitae dicta sunt.explicabo ipsam..