চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা ঝিলিম বাজারে সড়কের একপাশে ২৫০ মিটারের একটি ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য সড়কের উভয় পাশের দুই কিলোমিটার মতো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। জানা যায়, আমনুরা থেকে তেন্দুরা পর্যন্ত বিশাল আকৃতির ২৫৮টি গাছ কেটে বিক্রি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ। তবে গাছগুলো নিজেদের দাবি করে, কাটা বন্ধ রাখতে জেলা পরিষদকে চিঠি দেয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। এ নিয়ে জেলা পরিষদ ও বিএমডিএর মধ্যে কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, রাস্তার দু’পাশে শিমুল, কড়ই, শিশুসহ নানা প্রজাতির শত শত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা ছোটবেলা থেকে রাস্তার দুইধারে শত শত গাছ দেখছি এবং গাছগুলোর কারণে রাস্তার দুই ধার সবুজ ছিল। গাছগুলো হঠাৎ কে কাটলো আর কী কারণেই বা কাটতে দিল তা বুঝতে পারছি না। ক্লান্ত পথচারীরা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছায়া পেত। গাছ কাটার কারণে খরাতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। মাত্র এইটুকু ড্রেনের জন্য দুই কিলোমিটার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আল মামুন রশীদ বলেন, ৯০ সালের দিকে সড়কের দুইপাশে গাছগুলো রোপণ করেন বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা পরিষদের ২০২১ সালে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী উক্ত সড়কের ভূমির মালিক জেলা পরিষদ হলেও গাছের মালিক বিএমডিএ। কিন্তু তাদের না জানিয়েই ওই গাছ টেন্ডার করে বিক্রি করে দেয় জেলা পরিষদ। তা বন্ধে জেলা পরিষদকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু চিঠি উপেক্ষা করেই চলছে গাছ কাটা।সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, রাস্তার একপাশে আমাদের মাত্র ২৫০ মিটার ড্রেন হবে। আর এই ড্রেন নির্মাণ করতে ৪ থেকে ৫টি গাছ কাটলেই হতো। তবে রাস্তার দুই পাশে কেন জেলা পরিষদ গাছ কাটছে, তা বলতে পারব না।তবে ২৫০ মিটার ড্রেনের জন্য কেন দুই কিলোমিটার গাছ কাটা হলো এই বিষয়ে জানতে মোবাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিনের যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।#