আমানুল্লাহআমান,রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীউপজেলানির্বাহীকর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলমকে অবশেষে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মহিদুল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বদলি করা হয়। বদলির এ আদেশের পর মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে এলাকায়। তবে সেই ইউএনওকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে উত্তর বঙ্গের বৃহৎ অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। বুধবার (৮ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলা এক যুক্ত বিবৃতিতে বরখাস্তের এ দাবি জানিয়ে বলেন, জানে আলম একজন ইউএনও, কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিভিন œমহলের অভিযোগের পাহাড়। তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ অমান্য কওে ফসলি জমি নষ্ট করে ওয়াকফ সম্পত্তিতে গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করেছেন। এ গুচ্ছ গ্রাম নিয়ে ব্যাপক দুনীতির অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তিনি এলাকার কৃষকদের উল্টো গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। ওই ঘটনায় সেখানে কাজ বন্ধ রাখতে হাইকোর্ট আদেশ দিলেও সেই আদেশের তোয়াক্কা করেননি জানে আলম। হাইকোর্টের আদেশ ও ওয়াকফ প্রশাসকের ভিন্ন আরেকটি আদেশ অমান্য করে তিনি কাজ চালিয়ে যান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আদিবাসীরাও জানে আলমের ওপর ক্ষুব্ধ। এছাড়া পরিবেশ নষ্ট ও দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন একজন আইনজীবী। ইউএনও‘রবদলির আদেশের সঙ্গে সঙ্গেএলাকায় মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, ইউএনওর অত্যাচারে কতটা অসহায় ছিলেন গোদাগাড়ীবাসী! বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা জানে আলমের সম্পত্তির তদন্ত ও অবিলম্বে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানান। এর আগে রাজশাহী জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জানে আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলেন রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান। হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি ইউএনওকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হলেও সেটি আমলে নেননিতিনি। অভিযোগ ওঠে, মোটাঅংকের টাকা খেয়ে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব নিয়ে গণ মাধ্যমে প্রকাশ হয় ধারাবাহিক সংবাদ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাকে বদলির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হলো। গোদাগাড়ীতে নতুন ইউএনও করা হয়েছে সঞ্জয় কুমার মহন্তকে। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।#