চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জমি জমা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে তিন বছর ধরে একজন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা প্রতিবেশীর দ্বারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও লাঞ্ছিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ গত ১৭ এপ্রিল গোলামী বেগমের স্বাক্ষরিত আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন ও তার অনুলিপি সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর পাঠানো আবেদন সুত্রে জানা গেছে শিবগঞ্জ পৌর সভার তিন নং ওয়ার্ডের চক দৌলতপুর গ্রামে গোলাপীর প্রতিবেশী মিনা হাজী ও তার লোকজন দীর্ঘ দিন যাবত গোলামী বেগমের নিজ জমিতে নির্মিত বাড়ির পাশে টয়লেটের চেম্বার করতে বিভিন্ন ভাবে বাধা দিয়ে আসছে। এমনকি তার ও তার পরিবারের ওপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ০৩ জুন /২০২৩ খ্রী: তারিখ বিকালে টয়লেটের চেম্বার করার সময় মিস্ত্রীকে বাধা দিলে আমি কারণ জানতে চাইলে মিনা হাজী, তার ভাই সোনু আলি,তার স্ত্রী পারুল বেগম, ছেলে জুয়েল সহ তার দলবল গোলাাপীকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে ।এ সময় তার ছোট মেয়ে তাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও (মেয়েটিকে) মারপিট করে। এ সময় স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা করলে প্রাণ নাশেরও হুমকী দেয়। গোলাপী বেগম জানায় এ জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে ২০২২ সালে পৌর সভার মেয়রের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে পৌর সভার পক্ষ থেকে সালিশী আদালতের সভাপতি শাহাজাহানের সভাপতিত্বে তিনটি সালিশ হয়েছে এবং সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাধিবার জমি মাপজোকের পর তার দিকে আমার .০০৯০ শতক জমি বেশী দিয়ে সীমানা প্রচীর নিধারিত হয়। সে মোতাবেক আমি বাড়ি নির্মান করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাকে টয়লেটের চেম্বার তৈরী করতে না দিয়ে বরং আমার সাথে দূর্ব্যবহার করে আসছে। এমনকি যখন তখন আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে।আমি দীর্ঘদিন যাবত ইউ, এন ও স্যার, এসি ল্যান্ড স্যার ও থানার ওসি স্যারের নিকট একাধিক বার ঘুরে কোন বিচার বা সমাধান পাইনা। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ জুবায়ের হোসেন বলেন ঘটনাটি পারিবারিক হলেও প্রতিবেশীরা সালিশ নামাকে উপেক্ষা করে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যার ওপর এভাবে নির্যাতন করতে পারে না। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন জানলাম। ঘটনাটি অবশ্যই গুরুত্বসহকারে সমাধানের চেষ্টা করবো। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, আবেদন পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো ইনশাল্লাহ।#